November 23, 2024, 1:18 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
দেশের বহুল আলোচিত কুষ্টিয়ার সেই এনআইডি জালিয়াতির ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলামসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে ।
মঙ্গলবার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করা হয়। তবে আদালত সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আজ রোববার)। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দিন আহমেদ সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তদন্তে ৪১ জনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। তাদের বিষয়টি দুদকের শিডিউলভুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আদালতকে অবহিত করা হয়েছে।
মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন আ.লীগ নেতা রবিউল, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও হাজি রবিউলের ভাতিজা আশরাফুজ্জামান সুজন, জালিয়াতির ঘটনায় সরাসরি অংশ নেওয়া জাহানারা বেগম, আজেরা খাতুন, পিঞ্জিরা খাতুন ও আমির হোসেন। মামলায় রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই ঘটনা প্রথম উঠে আসে গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে। পরে ঘটনায় উঠে আসে অভিযুক্ত প্রতারক চক্রের নাম। চক্রটি কুষ্টিয়ার মজমপুর মৌজার প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের ২২ শতক জমির ভুয়া মালিক সেজে মাত্র ৭৭ লাখ টাকায় একজনের কাছে বিক্রি করে দেয়। চক্রটি পরিবারের সবার ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে রাতারাতি অন্যের জমির মালিক বনে যান। ওই জমির প্রকৃত মালিক শহরের থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এমএম ওয়াদুদ ও তার শরিকরা।
এ ঘটনায় ওই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর ওয়াদুদ প্রতারক চক্রের ১৮ সদস্যের নাম উলেখ করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় উঠে আসে আ. লীগ নেতা রবিউলের নাম।
জমা দেওয়া অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, সাক্ষীদের ১৬১ ধারায় জবানবন্দি এবং ১৫ জন আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনা করে ৪১ জনের অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
মামলার বাদী এমএম ওয়াদুদ বলেন, প্রায় চার বছর লেগেছে মামলার চার্জশিট দিতে। চার্জশিটে কী বলা হয়েছে তা এখনো তিনি দেখেননি বলে জানান।
অভিযুক্ত আ.লীগ নেতা রবিউল বলেন, এ মামলার সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেনে।
এদিকে, ঐ আওয়ামী লীগ নেতা হাজি রবিউল ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক।
নাম না প্রকাশ করে দুদক কর্মকর্তারা জানান, রবিউল এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা পরিষদে থাকাকালে তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে।
Leave a Reply